চলমান আইপিএলে খেলতে যাওয়া দুই বাংলাদেশি ক্রিকেটার লিটন কুমার দাস ও মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে অনেক প্রত্যাশা ছিল সমর্থকদের। তবে সেই প্রত্যাশা পূরণের পর্যাপ্ত সুযোগই পাননি এই দুই ক্রিকেটার। ম্যাচের পর ম্যাচ সাইড বেঞ্চে বসিয়ে রাখা হয়েছে লিটন-মুস্তাফিজদের। আর বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের প্রতি দলগুলোর এমন আচরণে হতাশ মোহাম্মদ আশরাফুল। বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের কেন আইপিএলে নেওয়া হয়, মাঠে খেলার জন্য নাকি সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে ব্যবসা, প্রচার-প্রচারণা বৃদ্ধির জন্য। উত্তরটা এখন কম-বেশি সবারই জানা।
ফেসবুক বা টুইটারে লিটন-মুস্তাফিজদের নিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর একের পর এক পোস্ট দেখে আপনার মনে হতে পারে, তারাই হয়তো দলগুলোর সেরা ক্রিকেটার। তবে বাস্তবতা অনেকটাই ভিন্ন। কারণ লিটন-মুস্তাফিজদের প্রতি বাংলাদেশি সমর্থকদের আবেগকে কাজে লাগিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নিজেদের প্রচার-প্রচারণার কাজটা ভালোমতে করলেও, একাদশে তাদের সুযোগ দেওয়ার প্রয়োজনই মনে করে না আইপিএলের দলগুলো।
আর অজুহাত হিসেবে বলা হয় অফফর্ম। অথচ রাসেল-নারিনদের মতো অনেক ক্রিকেটার ম্যাচের পর ম্যাচ রান না করেও একাদশে নিয়মিত সুযোগ পান। আর তাতেই প্রশ্ন ওঠে, সঠিক মূল্যায়ন পাচ্ছেন তো বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা? এই ইস্যুতে এবার মুখ খুললেন জাতীয় দলের সাবেক তারকা ব্যাটার মোহাম্মদ আশরাফুল।
এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আশরাফুল জানান, ‘আইপিএলে আমাদের খুবই ছোট করে দেখা হয়। ওরা ১-২টা প্লেয়ারকে নেয় শুধুমাত্র মার্কেটিংয়ের জন্য। আপনি যদি দেখেন রাসেলের মতো ক্রিকেটার ৯ ম্যাচ খেললেও একটি ম্যাচেও ভালো পারফর্ম করতে পারেননি। আর একটি ম্যাচ দিয়ে আপনি কোনো ক্রিকেটারকে মূল্যায়ন করতে পারবেন না’।
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু লিটন নয়, তামিমের মতো একজন বিশ্বসেরা ব্যাটারও কিন্তু আইপিএলে সঠিক মূল্যায়ন পায়নি। এছাড়া আমাদের প্লেয়ারদের কোনো এজেন্ট নেই। বিদেশি লিগগুলোতে এজেন্টের মাধ্যমে গেলে, ভালো হয়। যদিও আমাদের সেই ব্যবস্থা নেই। পাশাপাশি আইপিএলে যেহেতু বেশিরভাগ কোচ বিদেশি, তাই তারা তাদের দেশের প্লেয়ারদের বেশি সুযোগ দেয়। যার ফলে আমাদের দেশের ক্রিকেটাররা পর্যাপ্ত গুরুত্ব পায় না’।